ঢাকা , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ , ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এপ্রিলে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনের দাবি মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে ডেঙ্গুর তীব্র ঢেউয়ের শঙ্কাতেও প্রতিরোধ প্রস্তুতিতে নজর নেই ঈদ উপলক্ষে অর্ধেকের বেশি গার্মেন্ট কারখানা এখনও বন্ধ এবার বায়ুদূষণে শীর্ষে কাঠমান্ডু স্থানীয় সরকার সচিবকে জনপ্রশাসনে সংযুক্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের হুমকি, নিরাপত্তা চেয়ে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন সাটুরিয়ার বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দেখতে উপচেপড়া ভিড়, রাজস্ব আয় ৫ লাখ চাটমোহরের হান্ডিয়ালে জমি জবরদখলের অভিযোগ বরিশালে কল্যাণ কেন্দ্রের কল্যাণে জন্ম নিয়েছে ১১৩ নবজাতক কিশোরগঞ্জের হাওরে ধান কাটা শুরু বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির ভূমিকম্পকে ব্যবহার করে মিয়ানমার জান্তার ত্রাণ নিয়ে কারসাজি যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী সর্ববৃহৎ সমাবেশ শুল্ক ঘোষণার পর জেপি মরগানের পূর্বাভাস ভারতে ৭০ বাংলাদেশি পর্যটক নিয়ে বাস উল্টে নিহত ১ রাফাহ শহরকে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করল ইসরাইল ব্যাটারের কাছাকাছি উদ্যাপনে পাওয়া শাস্তির ডাবল পেলেন দূরে করে
মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক সমাধান হবে

  • আপলোড সময় : ০৬-০৪-২০২৫ ০৩:০৭:১৯ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০৪-২০২৫ ০৩:০৭:১৯ অপরাহ্ন
আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক সমাধান হবে
বাংলাদেশি পণ্য আমদানির ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া এই সিদ্ধান্তে রফতানি খাতের ঝুঁকি বেড়েছে বাংলাদেশের। তবে তা মোকাবিলায় এরইমধ্যে তোড়জোড় শুরু করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে করণীয় নির্ধারণে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠকে বসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটার কিছুক্ষণ পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জরুরি বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে বলে দৃঢ় আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব। তিনি আরও বলেন, আমরা এমন কিছু করবো যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ হয়। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছেন বলে জানান তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত নতুন শুল্কহার নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়া রয়েছেন। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নিয়েছেন। এর আগে ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলনে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ নিয়ে ড. ইউনূস জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শুল্ক ইস্যু সমাধানে ইতিবাচক অগ্রগতি হবে। যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি কমবে না, আরও বাড়বে : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আমরা এমন কিছু করব, যার ফলে বর্তমানে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ রফতানি করে তার চেয়ে বাড়বে। আমি এটা বলে দিতে পারি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রফতানি কমবে না, বরং আরও বাড়বে। শনিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারে পদক্ষেপ নিয়ে শফিকুল আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন শুল্কহার নিয়ে আলোচনা করতে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে আমাদের রেসপন্স কী হবে, আমরা মার্কিন প্রশাসনকে কী লিখব, এ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হবে। বর্তমান সরকার খুবই ব্যবসাবান্ধব জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, তবে আমি এটুকু বলতে পারি, আজকের বৈঠকে খুব ইতিবাচক কিছু সিদ্ধান্ত আসবে। বর্তমান সরকার খুবই ব্যবসাবান্ধব, খুবই এক্সপোর্টবান্ধব। এরআগে বৃহস্পতিবার ব্যাংককে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অধ্যাপক ইউনূসের বরাত দিয়ে বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যালোচনা করছি। যেহেতু এটি আলোচনাযোগ্য, তাই আমরা আলোচনা করব এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা সর্বোত্তম সমাধানে পৌঁছাতে পারব। গত বুধবার ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় বুধবার দিবাগত রাত ২টা) হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ করার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যেখানে বাংলাদেশি পণ্যে এতদিন গড়ে ১৫ শতাংশ শুল্ক ছিল। একইভাবে আরও অনেক দেশের পণ্যের ওপরও শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, পাকিস্তানের ওপর ২৯ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৬ শতাংশ, চীনের ওপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর ২০ শতাংশ, কম্বোডিয়ায় ৪৯ শতাংশ, ভিয়েতনামে ৪৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪৪ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৩৬ শতাংশ, তাইওয়ানে ৩২ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৩২ শতাংশ, সুইজারল্যান্ডে ৩১ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩০ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৫ শতাংশ, জাপানে ২৪ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২৪ শতাংশ, ইসরায়েলে ১৭ শতাংশ, ফিলিপাইনে ১৭ শতাংশ, সিঙ্গাপুরে ১০ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশ, তুরস্ক, ব্রাজিল, চিলি, এবং অস্ট্রেলিয়ায় ১০ শতাংশ করে শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স